Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ঈদ
label.image.title
প্রতিষ্ঠানের ধরণ
মসজিদ
প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম

পদবি

মোবাইল

ঠিকানা
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, পাবনা সদর, পাবনা।
ইতিহাস
<p>মহান আল্লাহতা’আলা মুসলমানদের জন্য বছরে দু’টি পবিত্র উৎসবের দিন উপহার প্রদান করেছেন।একটি হলো এক মাস সিয়াম সাধনার পর সাওয়াল মাসের প্রথম দিবসে ‘ঈদুল ফিতর’ আর অপরটি হলো ঈদুল আযহাবা কোরবানীর ঈদ।<br>ঈদঅর্থ-খুশি।আরেকঅর্থেফিরেআসা।এমন দিনকেঈদ বলা হয় যে দিন মানুষ একত্র হয় ও দিনটি বারবার ফিরে আসে। এ শব্দ দ্বারা এ দিবসেরনাম রাখার তাৎপর্য হলো আল্লাহ রাববুল আলামিন এ দিবসে তাঁর বান্দাদেরকে নিয়ামাত ওঅনুগ্রহ দ্বারা বারবার ধন্য করেন ও বারবার তাঁর ইহসানের দৃষ্টি দান করেন। যেমন রমাদানে পানাহার নিষিদ্ধ করার পর আবার পানাহারের আদেশ প্রদান করেন। ছদকায়ে ফিতর, হজ-যিয়ারত, কুরবানির গোশত ইত্যাদি নিয়ামাত তিনি বারবার ফিরিয়ে দেন। আর এ সকলনিয়ামাত ফিরে পেয়ে ভোগ করার জন্য অভ্যাসগতভাবেই মানুষ আনন্দ-ফুর্তি করে থাকে।<br>বছরে দুটি ঈদ এবং উভয়ের তারিখও নির্ধারিত। সামাজিক রাষ্ট্রীয় কোন সুবিধা-অসুবিধাকিংবা যুক্তির ভিত্তিতে ঈদের তারিখ পরিবর্তন করার অধিকার যেমন কারো নেই, ঠিক তেমনিভাবে দু’টি ঈদ কে কমিয়ে একটি অথবা বাড়িয়ে দুয়ের অধিক করার অধিকারও আল্লাহ তা’আলাকাউকে দেন নি।<br>ঈদের দিনে যে সব কারণে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হৃদয় খুশিতে ভরে ওঠে , তা হল -ঈদুলফিতরে সুদীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার মহান আদেশ পালন করেসৌভাগ্য লাভ করে সওয়াবের আশায় আশান্বিত হয়ে দিবসে পানাহারের আদেশ প্রাপ্তি ওসদকাতুল ফিতর প্রদান করে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের অভিপ্রায়ে হৃদয় খুশিরআনন্দে ভরে ওঠে। আর ঈদের আনন্দকে পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করার জন্য আল্লাহ তা’আলা এদিনে রোযা রাখা হারাম ঘোষনা করেছেন। এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে আছে, আমাদের প্রিয় নবীহযরত মুহাম্মদ (সঃ) ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার দিনে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।<br>ইসলামে ঈদ প্রবর্তনের ইতিহাস –<br> ইসলামে ঈদের প্রবর্তন হয়েছে দ্বিতীয় হিজরীর মাঝামাঝি সময়ে। এ প্রসঙ্গে মুসনাদেআহমদ ও বাবু দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) মদীনায় হিজরতের পর প্রায়দেড় বছর যাবত লক্ষ্য করছিলেন যে, মদীনাবাসীরা অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে বছরে দু’টিউৎসব পালন করে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে,তারা বললেন-আমরা জাহিলী যমানায় এটা এমনি হাসি-তামাশা আর আনন্দ উচ্ছলতার মধ্য দিয়ে উদযাপনকরতাম। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদেরকে বললেন, আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে এদু’টি উৎসবের পরিবর্তে অধিক উত্তম ও কল্যাণকর দু’টি আনন্দ উৎসব দান করেছেন। একটিশাওয়াল মাসের ১ম তারিখে ‘ঈদুল ফিতর’ এবং অপরটি জিলহজ্ব মাসের ১০ম তারিখে ‘ঈদুলআজহা’।<br>ঈদের রাতের ফযীলত –<br> হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে জাগ্রতথেকে ইবাদত করবে,সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন ভয়ংকর আতংক ভাব থেকে বেঁচে থাকবে।” অন্যএক হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ করেন, “ঈদের রাতে উম্মতে মুহাম্মদীকেক্ষমা করা হয়। কারণ , কর্মচারীদেরকে কাজ থেকে ফারিগ হওয়ার পর ভাতা দেয়া হয়।”</p>